আম খেলে কি হয়-আম খেলে কি ওজন বাড়ে?
আম সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই রসালো ফল কার না ভালো লাগে? তবে ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকেই চাইলেও আম খেতে চান না। অনেকে আবার ডায়াবেটিসের ভয়ে আম এড়িয়ে চলেন। আম খেলে কি আসলেই ওজন বাড়ে?
মৌসুমি ফল আম শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। আর মোটা হওয়া ঠিক নয়।
আম ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। এটি হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ পূজা মাখিজা বলেছেন যে আমাদের ভিটামিন এ, সি, কপার এবং ফোলেট রয়েছে। আর চর্বির পরিমাণ মাত্র এক শতাংশ।
এই ফলের পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখার পাশাপাশি এর ভোজ্য ফাইবার হৃদরোগ এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, পাকা আমে ক্যারোটিন বেশি থাকে। প্রতি 100 গ্রাম আমে 2640 মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন থাকে। আম স্টার্চের একটি ভালো উৎস। প্রতি 100 গ্রাম পাকা আমের জন্য 20 গ্রাম স্টার্চ পাওয়া যায়। 108 ক্যালোরি, 3 গ্রাম ফাইবার, 24 গ্রাম চিনি রয়েছে। এটিতে 256 মিলিগ্রামও রয়েছে। পটাসিয়াম, 0.2 মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-6।
এতে রয়েছে 1.3 গ্রাম আয়রন, 14 মিলিগ্রাম। ক্যালসিয়াম, 16 মিলিগ্রাম। ফসফরাস, 16 মিলিগ্রাম। ভিটামিন সি, 0.9 মিলিগ্রাম। রিবোফ্লাভিন এবং 0.06 মিলিগ্রাম। থায়ামিন থাকে।
পাকা আমেও রয়েছে ভিটামিন বি-১ এবং বি-২।
প্রতি 100 গ্রাম পাকা আমে 0.1 মিলিগ্রাম। ভিটামিন বি-১ এবং ০.০৬ মিলিগ্রাম। B-2 আছে।
প্রতিদিনের ভিটামিন এ এর ২৫ শতাংশ এবং ভিটামিন সি এর ৬ শতাংশ আম থেকে পাওয়া যায়।
পাকা আমের উপকারিতা সম্পর্কে পুষ্টিবিদরা বলেন, আমের পুষ্টিগুণ নানাভাবে শরীরে শক্তি জোগায় এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে মানবদেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের চাহিদার ২৫% ভিটামিন এ পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন এ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। পাশাপাশি কিডনি, লিভার, হার্টসহ অন্যান্য অঙ্গকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
লবন খাওয়ার উপকার ও অপকার? কেন ভাতের সাথে লবণ খাবেন না?
মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়, প্রতিকার পেতে কী করব-