তিস্তার হঠাৎ ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হাজারো মানুষ-২০২১
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা নদীর পানি বুধবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারী ডিমলার ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টের উপর দিয়ে বিপদসীমার ৭৬০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আশেপাশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমতল বাইপাস সড়কটি ভেঙে গেছে।
ভারী বৃষ্টিপাত, উজানে এবং ভারতের গজলডোবারের সব গেট খোলার কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে। ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার 80০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার টেপাখারিবাড়ি, গয়াবাড়ি, ছোটখাতা, বাইশ পুকুর ও ছাতুনামাসহ তিস্তা নদী এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে তিস্তা অববাহিকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড মানুষকে সরিয়ে নিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি ৫৩.২০ সেমি, অর্থাৎ বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার (বিপদসীমার ৫২.৬০ সেমি) উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি গেট খোলা রাখা হয়েছে।
টেপাখারিবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক বলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তিস্তা বাজার, তেলিরবাজার, দোলাপাড়া, চরখড়িবাড়ি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। চর ফসলি জমি সব পানির নিচে। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে তাদের গবাদি পশু নিয়ে চলে গেছে। খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, কার্তিক মাসে এ ধরনের আকস্মিক বন্যা স্থানীয়দের রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। এলাকার ছোটখাটা, বাইশপুকুর ও সুপারীপাড়া গ্রামগুলো এখন নদীতে পরিণত হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা পূর্বাচতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তার ডান তীর এবং জিরো পয়েন্টে গ্রোয়েন বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। বিশেষ করে গ্রোয়েন বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গ্রোভ ভেঙে পড়লে ডান তীরের বাঁধসহ এলাকার শত শত ঘরবাড়ি তিস্তা নদীতে ভেসে যাবে।
এদিকে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙে গেছে। ধসের কারণে বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে এবং বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট হুমকির মুখে পড়েছে।
সত্যের সন্ধানের সাথে আমি আপনাদের পশে আছি-
তাহের আমান
ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ,ডিমলা,নীলফামারী।