শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি
শিশুর শ্বাসকষ্ট একটি জটিল রোগ। শিশুরা সাধারণত সর্দি বা জ্বর হলে এই সমস্যায় ভোগে। আবার শীতে অনেক শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
ফুসফুসে ভাইরাল ইনফেকশন হলেই শ্বাসকষ্ট হয়। ভাইরাসটি ফুসফুসের পৃষ্ঠের আস্তরণকে ধ্বংস করে, মিউকোসাল অনাক্রম্যতা হ্রাস করে। এটি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়। ফুসফুসের ভাইরাল সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে।
শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। কারণ শিশুদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় দুর্বল। তার উপরে বাচ্চারা স্কুলে অনেক বাচ্চাদের সাথে মিশে, মাঠে খেলে তাই তাদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বড়রা তাদের সামনে ধূমপান করলে শিশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শিশুর শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যুগান্তরকে পরামর্শ দেন ডা. তানজিনা আল মিজান।
শিশুর শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
আরো ঘন ঘন শ্বাস নিন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হাড় বৃদ্ধি পাবে
নিঃশ্বাসের সঙ্গে কোনো শব্দ হলে
শ্বাস নেওয়ার সময় পেটে প্রবেশ করলে
বুকে ব্যথা হলে
ঘন ঘন শুকনো কাশি
অতিরিক্ত খিটখিটে মেজাজ
কয়েকদিন ধরে জ্বর
এগুলো দিয়ে যদি ঘুম আসে, নাকে ও ঠোঁটের আশেপাশে জ্বর ও কাঁপুনি হয়, তাহলে অবহেলা না করে শিশু বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
পরিবারে কারো হাঁপানির ইতিহাস না থাকলেও শুরু থেকেই কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ভালো।
জন্ম থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে একচেটিয়া বুকের দুধ খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ভ্যাক্সিনেশন – সঠিক সময়ে সব টিকা দিতে হবে।
শিশুর ঘর আলো-বাতাসে পরিপূর্ণ হতে হবে।
শিশু যেন প্রতিদিন কিছু সময় রোদে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীরে যে ভিটামিন তৈরি হয় তাও আমাদের রোগ প্রতিরোধ করে।
শিশুদের পুষ্টির ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত পানীয় খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
যারা গৃহস্থালির কাজে সাহায্য করার জন্য আছেন তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে। তাদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধিও বজায় রাখতে হবে।
বাচ্চারা যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বিকেলে খেলাধুলা করে, তখন তাদের ঘামে ভিজে কাপড় পরিবর্তন করে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
বাইরে বেরোনোর সময় এবং ঘুমানোর সময় বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের শরীরে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় থাকে। এতে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।