বাংলাদেশের সেরা প্রাইভেট হাসপাতাল? বাংলাদেশের সেরা ৫ টি হাসপাতাল?
স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কখনোই খুব বেশি ভালো ছিল না। এটা স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে শেষ অবনতি হতে শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বমানের অনেকগুলো ভালো হাসপাতাল রয়েছে সরকারি হাসপাতালরগুলো বাদ দিলে বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা অনেকগুলো ।উন্নত মানের হাসপাতাল রয়েছে।
যেগুলোতে আপনি সত্যিকার অর্থেই ওয়ার্ল্ড ক্লাস চিকিৎসা সেবা পাবেন। বাংলাদেশের প্রতিটি ডিসটিকে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য বেসরকারি হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেরা পাঁচটি হাসপাতালের নাম নির্ণয় করা সত্যিই অনেক কঠিন কাজ।
হাসপাতাল সত্যিকার অর্থে কতটুকু ভালো কাজ করে যাচ্ছে অর্থের সেবার মান নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তাই সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সার্ভিস সব সময় একটু বেশি থাকে। এবং উল্লেখিত পাঁচটি হাসপাতালে হয়তো আপনার তেমনটাই মনে হতে পারে ।জানতে হলে পোস্টটি দেখুন।
স্কয়ার হাসপাতালঃ-
স্কয়ার বাংলাদেশের লিডিং গ্রপ অফ কম্পানিজ স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। স্কয়ার হাসপাতাল ঢাকার ব্যস্ততম পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতাল টি চালু আছে। চিকিৎসা সেবা এবং কাস্টমার এসব দিক বিবেচনায় হাসপাতালটির সবার উপরে রয়েছে। সেটিংএ হাসপাতালটি বর্তমানে ৪০০ ব্যাট এর একটি হাসপাতাল।
হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে। জেনারেলের নিউরোসার্জারি, ইউরোলজি, অর্থপেডিকস, নিউরোমেডিসিন, এন্ড্রোক্রাইনোলজি, কার্ডিওলজি, অফথালমোলজি, সহ প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা সেবায় পাওয়া যাচ্ছে হাসপাতালে।
আরো কিছু হাসপাতালের নাম বলব যেগুলো হয়তো আপনার মনে আসতে পারে যার মধ্যে রয়েছে ইবনে সিনা, পপুলার, হাসপাতাল থেকে শুরু করে এমন নাম-না-জানা আরো অসংখ্য অনেক হাসপাতাল। যাদেরকে হয়তো আপনি সেরাদের তালিকায় ধরে রাখছেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে হাসপাতালগুলো নেই এদের লিস্ট হয়তো আপনি পেতে পারেন টপ টেন কিংবা টপ টুয়েন্টিতে। পোস্টি ভালো কমেন্ট করুন আপনার মতামত জানান। এবং কোন হাসপাতালকে আপনার কাছে সেরা মনে হচ্ছে সেটা আমাদেরকে জানান।
ইউনাইটেড হাসপাতালঃ-
ইউনাইটেড হাসপাতাল বাংলাদেশের অভিজাত এলাকা গুলশান অর্থে অবস্থিত। ইউনাইটেড হাসপাতাল গুলশান লেকের পাড়ে অবস্থিত। হাসপাতালটি দেশের অন্যতম বৃহত্তম একটি হাসপাতালে বলা যায়।
২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু করে। ইউনাইটেড হাসপাতাল 450 স্কয়ার ফিটে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল t450bt বর্তমান একটি হাসপাতাল থেকে আজ পর্যন্ত খুব ভালো মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। দেশজুড়ে বর্তমানে হাসপাতালটি কার্ডিয়াক সার্জারি, অর্থোপেডিক ইন্টারনাল, মেডিসিন গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি, নিউরোমেডিসিন নিউক্লিয়ার, মেডিসিন থেকে শুরু করে অনেক ধরনের সেবা প্রদান করে আসছে।
এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রথমবারের মতো কোন সরকার চালু করেছে। বাংলাদেশ এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল নিয়ে বেশ অনেকগুলো বিতর্কিত সংবাদ প্রচার হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী বলে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তাদের তালিকা থেকে হাসপাতাল থেকে এখনও পাওয়া যায়নি ।
এ্যাপোলো হাসপাতালঃ–
এ্যাপোলো ঢাকা বহুল পরিচিত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এই ব্লগে এপোলো হাসপাতাল টি অবস্থিত। ভারতের চেন্নাই ট্রেন হাসপাতালে আইটিইউ এপোলো হাসপাতালের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে।
বিশেষ করে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের সিঙ্গাপুর একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালটি বিভিন্নভাবে ভালো মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। সাধারন রোগীদের মধ্যে যার মধ্যে রয়েছে কার্ডিওলজি, নেফ্রলজি, নিউরোলজি, নিউরোমেডিসিন, থেকে শুরু করে অন্যান্য যত ধরনের জটিলতা রয়েছে।
তার সবই প্রদান করে যাচ্ছে এপোলো হাসপাতাল হাসপাতাল রয়েছে ২৪ ঘন্টা ইমারজেন্সি চিকিৎসা সেবা প্রদান করার রোগীদের তালিকায় রয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি, সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে দেশের নামীদামী উচ্চপদস্থ অনেক ব্যক্তিবর্গ চিকিৎসা নিয়ে থাকে।
বারডেম হাসপাতালঃ–
বারডেম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড রিভিউ পিটিশন ইন্টারসিটি এন্ড্রোক্রাইন এন্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডার। ১৯৮০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজের ঠিক উল্টাপাশে শাহবাগ মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন প্রফেসর মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
বর্তমানে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এটি। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের। ওয়েবসাইট ডিপার্টমেন্টে ৬০৮ বিশিষ্ট হাসপাতাল বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম প্রধান ডায়াবেটিস নিরাময় কেন্দ্র বলা চলে।
প্রতিদিন ক্রমাগত রোগীর চাপ সামলানোর জন্য কর্তৃপক্ষ নিজেদের বিভিন্ন ইউনিট সম্প্রসারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটঃ-
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপিত ১৯৮৯ সালে। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মালেক। রাজধানীর মিরপুর ২ শেরে বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের খুব কাছাকাছি অবস্থিত ।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত হাসপাতালটি বেশ ভালো মানের সুনাম অর্জন করেছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রাখায় হাসপাতাল দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম উপশমকারী একটি প্রতিষ্ঠানে বলা যায়।
তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। সকলেই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।